সাখাওয়াত হোসেন
রাষ্ট্রায়ত্ব ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমির সমীক্ষা প্রতিবেদনের ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। তবে এতে নতুন ভাবে আরো যুক্ত হচ্ছে ৮৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান। সম্পন্ন হওয়া প্রতিবেদনের সার্বিক বিষয়ে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে প্রশংসীত হলেও অনুমোদন দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, সমীক্ষার বাইরে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোরও এমন সমীক্ষা করা প্রয়োজন। সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিমাসের শেষ কার্যদিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিশনকে সাতটি বিষয়ে সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ বিষয়ে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কমিশনের সার্বিক বিষয়, কর্মকান্ড ও ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা প্রতিবেদন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি অনুমোদন না দেয়া হলেও কমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব বাকি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সমীক্ষা পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সমীক্ষায় আরো ৮৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। এজন্য ছয় মাস সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে ।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাকি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা প্রতিবেদন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রশংসনীয় হলেও রাজনৈতিক কারণে তা অনুমোদন দেয়া হয়নি। প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেয়া হলে সরকারের শেষ সময়ে তা বাস্তবায়ন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। কিংবা বর্তমান সরকার এর আশিংক কাজ সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে সরকার বদল হলে তা বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এছাড়া সরকার বদল হলে বর্তমান সরকার এর সুফল পাবে না। এজন্য আরো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানকে সমীক্ষা করার প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যে সাতটি সুপারিশ করেছে সেগুলো হচ্ছে-এক. অব্যবহৃত-উদ্বৃত্ত জমির ইনভেনটরি প্রণয়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। এই ইনভেনটরি চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। দুই.প্রস্তুতকৃত তালিকাটি সকল মন্ত্রনালয়-বিভাগে পাঠানো যেতে পারে। তিন. তালিকার কোন আইটেম সম্পর্কে কোনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের আপত্তি থাকলে তা যুক্তিতর্ক দিয়ে পেশ করা যেতে পারে। চার. সরকারের কাজে যদি কোন জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন হয় তবে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমির প্রয়োজন তারা এ তালিকাভুক্ত জমি থেকে বরাদ্দ পাবার প্রথম দাবিদার হবে। পাঁচ. প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে জমি লিজ বা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি যেমন নিলামের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ছয়. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠিত কমিটি ও সাব-কমিটি অবশিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে তার বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুপারিশ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটিতে অবহিত করতে পারে। এ কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা বাঞ্চনীয়। সাত. বর্তমান কমিটি একটি উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ প্রদানকারী কমিটি হিসাবে থাকতে পারে ও কোনে বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে সেখানে সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশন দীর্ঘ দেড় বছরে ৩৯টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমির সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, রাষ্ট্রায়ত্ব ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে ১৫১৬.৭৪ একর আশিংক ও সম্পর্ন উদ্ধৃত্ত জমি রয়েছে। তবে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরহাট মাইনিং কোম্পানি ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার ২০২.৭৫ একর জমি সম্পূর্ণ উদ্ধৃত্ত হিসাবে চিহিৃত হলে এমন জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১৭১৯.৫৩ একর।
এজন্য কমিশন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের জমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। এরমধ্যে কর্ণফুলী পেপার মিলের ২০০ একর উদ্ধৃত্ত জমিতে রফতানিমুখী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহন করার সুপারিশ করা হয়। ঢাকার মিরপুরস্থ ইন্সুলেটর ফ্যাক্টরীর ৩০.৩৭ একর অব্যবহৃত জমি পিপিপি অধীনে আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের অনুরোধ জানান। চিহিৃত উদ্ধৃত্ত জমি সরকারের মালিকানায় রেখে লীজ প্রদান পদ্ধতি অনুসরন করার প্রস্তাব করা হয়। উদ্ধৃত্ত বা অব্যবহৃত জমি যৌক্তিক ব্যবহারের জন্য ইপিজেড আদলে ০.০৫ একর (২০০ বর্গমিটার) প্লট করে লীজ দেয়া যেতে পারে। লীজ পদ্ধতির ক্ষেত্রে ইপিজেডের নিয়ম অনুসরণ করারও প্রস্তাব করা হয়। ###
রাষ্ট্রায়ত্ব ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমির সমীক্ষা প্রতিবেদনের ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। তবে এতে নতুন ভাবে আরো যুক্ত হচ্ছে ৮৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান। সম্পন্ন হওয়া প্রতিবেদনের সার্বিক বিষয়ে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে প্রশংসীত হলেও অনুমোদন দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, সমীক্ষার বাইরে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোরও এমন সমীক্ষা করা প্রয়োজন। সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিমাসের শেষ কার্যদিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিশনকে সাতটি বিষয়ে সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ বিষয়ে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কমিশনের সার্বিক বিষয়, কর্মকান্ড ও ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা প্রতিবেদন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি অনুমোদন না দেয়া হলেও কমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব বাকি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সমীক্ষা পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সমীক্ষায় আরো ৮৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। এজন্য ছয় মাস সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে ।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাকি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা প্রতিবেদন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রশংসনীয় হলেও রাজনৈতিক কারণে তা অনুমোদন দেয়া হয়নি। প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেয়া হলে সরকারের শেষ সময়ে তা বাস্তবায়ন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। কিংবা বর্তমান সরকার এর আশিংক কাজ সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে সরকার বদল হলে তা বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এছাড়া সরকার বদল হলে বর্তমান সরকার এর সুফল পাবে না। এজন্য আরো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানকে সমীক্ষা করার প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যে সাতটি সুপারিশ করেছে সেগুলো হচ্ছে-এক. অব্যবহৃত-উদ্বৃত্ত জমির ইনভেনটরি প্রণয়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। এই ইনভেনটরি চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। দুই.প্রস্তুতকৃত তালিকাটি সকল মন্ত্রনালয়-বিভাগে পাঠানো যেতে পারে। তিন. তালিকার কোন আইটেম সম্পর্কে কোনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের আপত্তি থাকলে তা যুক্তিতর্ক দিয়ে পেশ করা যেতে পারে। চার. সরকারের কাজে যদি কোন জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন হয় তবে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমির প্রয়োজন তারা এ তালিকাভুক্ত জমি থেকে বরাদ্দ পাবার প্রথম দাবিদার হবে। পাঁচ. প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে জমি লিজ বা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি যেমন নিলামের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ছয়. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠিত কমিটি ও সাব-কমিটি অবশিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে তার বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুপারিশ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটিতে অবহিত করতে পারে। এ কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা বাঞ্চনীয়। সাত. বর্তমান কমিটি একটি উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ প্রদানকারী কমিটি হিসাবে থাকতে পারে ও কোনে বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে সেখানে সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশন দীর্ঘ দেড় বছরে ৩৯টি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমির সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, রাষ্ট্রায়ত্ব ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে ১৫১৬.৭৪ একর আশিংক ও সম্পর্ন উদ্ধৃত্ত জমি রয়েছে। তবে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরহাট মাইনিং কোম্পানি ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার ২০২.৭৫ একর জমি সম্পূর্ণ উদ্ধৃত্ত হিসাবে চিহিৃত হলে এমন জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১৭১৯.৫৩ একর।
এজন্য কমিশন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের জমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। এরমধ্যে কর্ণফুলী পেপার মিলের ২০০ একর উদ্ধৃত্ত জমিতে রফতানিমুখী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহন করার সুপারিশ করা হয়। ঢাকার মিরপুরস্থ ইন্সুলেটর ফ্যাক্টরীর ৩০.৩৭ একর অব্যবহৃত জমি পিপিপি অধীনে আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের অনুরোধ জানান। চিহিৃত উদ্ধৃত্ত জমি সরকারের মালিকানায় রেখে লীজ প্রদান পদ্ধতি অনুসরন করার প্রস্তাব করা হয়। উদ্ধৃত্ত বা অব্যবহৃত জমি যৌক্তিক ব্যবহারের জন্য ইপিজেড আদলে ০.০৫ একর (২০০ বর্গমিটার) প্লট করে লীজ দেয়া যেতে পারে। লীজ পদ্ধতির ক্ষেত্রে ইপিজেডের নিয়ম অনুসরণ করারও প্রস্তাব করা হয়। ###
No comments:
Post a Comment