Saturday, October 19, 2013

পিপিপি’র আওতায় পটুয়াখালীতে হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর

সাখাওয়াত হোসেন
পাবলিক প্রাইভেট পাটনার্শীপ (পিপিপি)’র আওতায় পটুয়াখালী জেলার রাবনাবাদ চ্যালেনে স্থাপন করা হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর। প্রাথমিকভাবে এই বন্দরের রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব থাকছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে। নতুন এই বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। এজন্য পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন,২০১৩ নামে একটি খসড়া নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে। সকল পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে ইতোমধ্যে তা সচিব কমিটিতে অনুমোদন দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

খসড়া আইনে বন্দরের সীমান, বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলীসহ মোট ৪৯টি ধরা সংযোজন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ  প্রদান ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ পরিষদ ও নির্বাহী বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দর নির্মানের অর্থায়নের জন্য ঋণ গ্রহনের ক্ষমতা, বন্ড-শেয়ার ইস্যু, তহবিল গঠন, তহবিলের ব্যবহার, বাজেট প্রণয়ন, হিসাব রক্ষন ও নিরীক্ষা ও বার্ষিক আয় বিবরনী দাখিলের বিষয়গুলো আইনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচার ও ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে রাখা হয়েছে বন্দরের নিরাপত্তা ও বন্দরের অবৈধ দখল।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রস্তাবিত বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বন্দরের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কারিগরি সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রাথমিক বিনিয়োগ করবে। এবং পিপিপি;র আওতায় একটি পূণাঙ্গ সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আগ পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে, যা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্তিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছে। এতে বলা হয়েছে, পিপিপি’র আওতায় পূর্ণাঙ্গ সমুদ্র বন্দর নির্মাণ সময় সাপেক্ষ বিষয়। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রাবনাবাদ চ্যানেলে পাশে একটি পন্টুন স্থাপন করে স্বল্প পরিসরে পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল হ্যান্ডলিং এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। পিপিপির মাধ্যমে বন্দর স্থাপন ও পরিচালনা এবং বন্দরের নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। সমুদ্রমুখ থেকে এই চ্যানেলের অবস্থান হবে ৩১ কিলোমিটার যা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৬ কিলোমিটার ও মংলা বন্দর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। বন্দরের সীমানা চূড়ান্ত আইন প্রণয়নের পর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
বন্দর পরিচালনায় একজন প্রধান নির্বাহী ও নূন্যতম তিনজন সার্বক্ষনিক নির্বাহী পরিচালক ও তিনজন খন্ডকালিন পরিচালকের সমন্বয়ে নির্বাহী বোর্ড গঠন করা হবে। বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধান নির্বাহীর পদ খালি হলে মনোনীত কোনো নির্বাহী পরিচালক প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন।      


No comments: