বাতিল হতে পারে লাইসেন্স
লবন কারসাজিদের বিরোদ্ধে
সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে
লবন নিয়ে কারসাজিকারদের বিরোদ্ধে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে। গতকাল বুধবার ট্যারিফ কমিশন অব বাংলাদেশ (বিটিসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্টেক হোল্ডাররা লবন নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছেন। সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি ব্র্যান্ডের লবনের মোড়ক নকল করে আমদানিকৃত লবন বাজারজাত করার প্রেক্ষিতে স্টেক হোল্ডার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক সম্পর্কে ট্যারিফ কমিশনের মনিটরিং বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সব স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত না থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আলোচনায় বক্তারা পরবর্তীতে পরিশোধীত লবন আমদানি নিষিদ্ধ এবং যেসব প্রতিষ্ঠান দেশীয় ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে আমদানিকৃত লবন বাজারজাত করেছে তাদের চিহিৃত করে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে। লবনের বিপনন নীতিমালা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এমন সুযোগ নিচ্ছে অভিযোগ করে স্টেক হোল্ডাররা বলেন, শিগগিরই লবনের বিপনন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারের পরিশোধিত লবন আমদানির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারীত সীমার বেশি লবন আমদানি করছে। এখন সেই লবন দেশীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মোড়ক নকল করে বাজারে পুশ সেল করছে। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে দেশীয় লবন শিল্প এবং প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা।
দেশীয় দুটি লবন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ট্যারিফ কমিশন। এতে আমদানিকৃত পরিশোধিত লবন বাজারজাত করার বিষয়টি উঠে আসে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি কনফিডেন্স সল্ট নির্বাহী পরিচালক সফিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত বছর লবণ উৎপাদন কম হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার লবণ আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে লবণ ব্যবসায় জড়িত নন, এমনকি কারখানাও নেইএমন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের পরিশোধিত লবণ আমদানি করে এবং সরকারের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে বাজারজাত করেছেন। এতে দেশীয় শিল্প উদ্যেক্তারা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।