পণ্য আমদানি মূল্য পাইকারি মূল্য কুচরা মূল্য
রসুন ৪০ টাকা ৪৪ টাকা ৯০-১০০ টাকা
হলুদ ৫৫ টাকা ৫৮-৬০ টাকা ১২০-১৪০ টাকা
পেঁয়াজ ১৩-১৪ টাকা - ৩০-৩২ টাকা
খেজুর ৬০ টাকা - ১০০-১১০ টাকা
অর্থনীতি প্রতিবেদক : রসুনের আমদানি খরচ ৪০ টাকা। পাইকারী বাজারে তা বিক্রি হয় ৪৪ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সেই রসুনের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। হলুদের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ৫৫ টাকা। পাইকারী বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। আর খুচরা বিক্রেতারা দাম রাখছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত হলুদ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। পেঁয়াজের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ১৩ থেকে ১৪ টাকা। ভোক্তার কাছে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। খেজুরের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ৬০ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আর প্রতি কেজি ডালে ব্যবসায়ীরা মুনাফা করছে ৪৩ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসি) আয়োজিত ‘আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা এবং পণ্যের গুণগতমান অক্ষুন্ন রেখে সরবরাহ নিশ্চিত করা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো: মজিবুর রহমান এ সব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটা কোনো ব্যবসা হতে পারে না। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা যে মুনাফা করছে তা হারাম। ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে মুনাফা করছে শতভাগ আর তার চেয়ে কম প্রয়োজনীয় পণ্যে মুনাফা করে ৫০ শতাংশ।
আমদানিকারকদের আমদানি মূল্যের সঙ্গে বাজার মূল্যের বৈষম্যের তথ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বাজার মনিটরিং নাজুক অবস্থার কারণে এমনটি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রমজানে ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা থাকে এক লাখ ৫৫ হাজার টন। আর দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন। পেঁয়াজের মজুদও চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে সরকারের কাছে পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন। রমজান উপলক্ষে এখন পর্যন্ত চাহিদার প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন বেশি আমদানি করা হয়েছে খেজুর। সার্বিকভাবে আসন্ন রমজানে ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবসা করলে পণ্যের দাম বাড়বে না।
সম্প্রতি কাঁচা মরিচের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার মূল কারণ সম্পর্কে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ভারতে কয়েকদিন আগে বন্যা হয়। এতে তাদের সবজির মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। এই সুযোগে বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে ঢালাওভাবে কাঁচা মরিচ রফতানি করেছে। এতে কাঁচা মরিচের দাম ১২০ টাকায় উঠেছিল। এখন সরকার কাঁচা মরিচ রফতানি বন্ধ করায় তা আবার ৪০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম। তিনি বলেন, গত ২০১১-১২ অর্থবছর ১০.৬২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে শেষ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৮.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ফলে আসছে রমজানে খাদ্যজাত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, বিগত সময়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যতটা বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে তার চেয়ে বেশি। সরকারকে এ বিষয়ে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ বলেন, এখন মানুষ মাছ ও ফল খেতে ভয় পায়। ফরমালিনের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যকে এতটা বিষাক্ত করে হচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের কাছে আতংকের বস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এসব অসৎ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে স্থানীয় চেম্বার, বাজার কমিটি ও সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রমজানে সব ধররণের পণ্যের চাহিদা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে এক লাখ মেট্রিক টন। আর রমজানে এর চাহিদা বেড়ে হয় এক লাখ ৫৫ হাজার টন। সরকারের কাছে বর্তমানে মজুদ রয়েছে দুই লাখ টন এবং এলসি প্রসেসিং পর্যায়ে রয়েছে আরো এক লাখ ৫২ হাজার টন। চিনির চাহিদা এক লাখ টন। রমজানে এর চাহিদা হয় এক লাখ ৭৫ হাজার টন। বর্তমানে চিনি মজুদ রয়েছে ৫ লাখ টন এবং এলসি প্রসেসিং-এ আরো রয়েছে ৪ লাখ টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা হয় ৫০ হাজার টন, এর বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৩৯ হাজার টন এবং এলসি পর্যায়ে রয়েছে আরো ১৮ লাখ টন। রমজানে ছোলার চাহিদা হয় ২৫ হাজার টন আর মজুদ রয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার টন। রমজানে রসুনের চাহিদা হয় ৫০ হাজার টন কিন্তু বর্তমানে রসুনের মজুদ রয়েছে ৬১ হাজার টন। এমতাবস্থায় আসন্ন রমজানে কোনো ব্যবসায়ী ‘সরবরাহ কম বা আমদানি করা হয়নি’ বলে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুল হোসেন মিয়া বলেন, পণ্যে ফরমালিন মেশানো ও মাপে কম দেয়া ব্যবসায়ীদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, শিগগির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রয়েজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হবে এবং জেলা পর্যায়ে এ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হবে। ভোক্তা অধিকার আইনের যথাযথ ব্যবহার এবং এ আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পরিচালক মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় বলেন, রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি চারটি পণ্য ট্রাকে বিক্রি শুরু করেছে। এছাড়া ২ হাজার ৯৫২জন ডিলারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি শুরু করেছে। ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা, ছোলা ৬৬ টাকা, ভোজ্য তেল (খোলা) ১১৫ টাকা এবং প্যাকেট ১২১ টাকা, ডাল (নেপালী) ৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা টিসিবির ডাল আমদানি খরচের চেয়ে প্রায় ২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে অভিযোগ করলে তিনি বলেন, বর্তমানে যে ডাল বিক্রি হচ্ছে তা গত বছর আমদানি করা। সম্প্রতি আমদানি করা ডাল বাজারে এলে তা কমে আসবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ডিসিসিআইয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন মোমেন, দ্বীন মোহাম্মদ, সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম।
রসুন ৪০ টাকা ৪৪ টাকা ৯০-১০০ টাকা
হলুদ ৫৫ টাকা ৫৮-৬০ টাকা ১২০-১৪০ টাকা
পেঁয়াজ ১৩-১৪ টাকা - ৩০-৩২ টাকা
খেজুর ৬০ টাকা - ১০০-১১০ টাকা
অর্থনীতি প্রতিবেদক : রসুনের আমদানি খরচ ৪০ টাকা। পাইকারী বাজারে তা বিক্রি হয় ৪৪ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সেই রসুনের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। হলুদের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ৫৫ টাকা। পাইকারী বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। আর খুচরা বিক্রেতারা দাম রাখছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত হলুদ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। পেঁয়াজের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ১৩ থেকে ১৪ টাকা। ভোক্তার কাছে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। খেজুরের প্রতি কেজি আমদানি খরচ ৬০ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আর প্রতি কেজি ডালে ব্যবসায়ীরা মুনাফা করছে ৪৩ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসি) আয়োজিত ‘আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা এবং পণ্যের গুণগতমান অক্ষুন্ন রেখে সরবরাহ নিশ্চিত করা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো: মজিবুর রহমান এ সব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটা কোনো ব্যবসা হতে পারে না। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা যে মুনাফা করছে তা হারাম। ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে মুনাফা করছে শতভাগ আর তার চেয়ে কম প্রয়োজনীয় পণ্যে মুনাফা করে ৫০ শতাংশ।
আমদানিকারকদের আমদানি মূল্যের সঙ্গে বাজার মূল্যের বৈষম্যের তথ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বাজার মনিটরিং নাজুক অবস্থার কারণে এমনটি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রমজানে ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা থাকে এক লাখ ৫৫ হাজার টন। আর দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন। পেঁয়াজের মজুদও চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে সরকারের কাছে পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন। রমজান উপলক্ষে এখন পর্যন্ত চাহিদার প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন বেশি আমদানি করা হয়েছে খেজুর। সার্বিকভাবে আসন্ন রমজানে ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবসা করলে পণ্যের দাম বাড়বে না।
সম্প্রতি কাঁচা মরিচের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার মূল কারণ সম্পর্কে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ভারতে কয়েকদিন আগে বন্যা হয়। এতে তাদের সবজির মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। এই সুযোগে বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে ঢালাওভাবে কাঁচা মরিচ রফতানি করেছে। এতে কাঁচা মরিচের দাম ১২০ টাকায় উঠেছিল। এখন সরকার কাঁচা মরিচ রফতানি বন্ধ করায় তা আবার ৪০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম। তিনি বলেন, গত ২০১১-১২ অর্থবছর ১০.৬২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে শেষ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৮.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ফলে আসছে রমজানে খাদ্যজাত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, বিগত সময়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যতটা বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে তার চেয়ে বেশি। সরকারকে এ বিষয়ে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ বলেন, এখন মানুষ মাছ ও ফল খেতে ভয় পায়। ফরমালিনের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যকে এতটা বিষাক্ত করে হচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের কাছে আতংকের বস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এসব অসৎ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে স্থানীয় চেম্বার, বাজার কমিটি ও সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রমজানে সব ধররণের পণ্যের চাহিদা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে এক লাখ মেট্রিক টন। আর রমজানে এর চাহিদা বেড়ে হয় এক লাখ ৫৫ হাজার টন। সরকারের কাছে বর্তমানে মজুদ রয়েছে দুই লাখ টন এবং এলসি প্রসেসিং পর্যায়ে রয়েছে আরো এক লাখ ৫২ হাজার টন। চিনির চাহিদা এক লাখ টন। রমজানে এর চাহিদা হয় এক লাখ ৭৫ হাজার টন। বর্তমানে চিনি মজুদ রয়েছে ৫ লাখ টন এবং এলসি প্রসেসিং-এ আরো রয়েছে ৪ লাখ টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা হয় ৫০ হাজার টন, এর বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৩৯ হাজার টন এবং এলসি পর্যায়ে রয়েছে আরো ১৮ লাখ টন। রমজানে ছোলার চাহিদা হয় ২৫ হাজার টন আর মজুদ রয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার টন। রমজানে রসুনের চাহিদা হয় ৫০ হাজার টন কিন্তু বর্তমানে রসুনের মজুদ রয়েছে ৬১ হাজার টন। এমতাবস্থায় আসন্ন রমজানে কোনো ব্যবসায়ী ‘সরবরাহ কম বা আমদানি করা হয়নি’ বলে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুল হোসেন মিয়া বলেন, পণ্যে ফরমালিন মেশানো ও মাপে কম দেয়া ব্যবসায়ীদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, শিগগির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রয়েজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হবে এবং জেলা পর্যায়ে এ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হবে। ভোক্তা অধিকার আইনের যথাযথ ব্যবহার এবং এ আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পরিচালক মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় বলেন, রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি চারটি পণ্য ট্রাকে বিক্রি শুরু করেছে। এছাড়া ২ হাজার ৯৫২জন ডিলারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি শুরু করেছে। ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা, ছোলা ৬৬ টাকা, ভোজ্য তেল (খোলা) ১১৫ টাকা এবং প্যাকেট ১২১ টাকা, ডাল (নেপালী) ৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা টিসিবির ডাল আমদানি খরচের চেয়ে প্রায় ২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে অভিযোগ করলে তিনি বলেন, বর্তমানে যে ডাল বিক্রি হচ্ছে তা গত বছর আমদানি করা। সম্প্রতি আমদানি করা ডাল বাজারে এলে তা কমে আসবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ডিসিসিআইয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন মোমেন, দ্বীন মোহাম্মদ, সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম।
No comments:
Post a Comment