সাখাওয়াত হোসেন সুমন: বিগত ছয় বছর ধরে থমকে আছে প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের কার্যক্রম। বিসিক ও প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে এ সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদিত হলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা শিল্প মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। অনেক খোঁজাখোঁজি করে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানালেন, ফাইল পাওয়া যা”েছ না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলাদা একটি প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তি সই হলেও সরকার পরিবর্তন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হ”েছ না। আর ফাইল পাওয়া না গেলে তা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং বিসিকের মধ্যে চুক্তির আওতায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে এ শিল্প নগরী গড়ে তোলার কথা ছিল। কিš‘ চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ নভেম্বর আবারও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রশাসনিক জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে ঢাকার নিকটবর্তী মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতুর পশ্চিম পাশে প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনে ৫০ একর জমি নির্ধারণ করা থাকলেও এর কার্যক্রমও ¯’বির হয়ে আছে।
এ বিষয়ে থাই ডিলাক্স প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কে এম ইকবাল হোসাইন বলেন,
বিসিকের সঙ্গে প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তি হয়েছে ছয় বছর। কিন্ত তার বহু আগে থেকেই এ বিষয়ে কার্যক্রম চালানো হ”েছ। প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যা”িছ। কিš‘ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনসহ প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হ”েছ না। অথচ দেশের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকে আরও শক্তিশালী করতে আধুনিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর প্লাস্টিক সেক্টর থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া হ”েছ। এ খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ জড়িত। তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হলে অচিরেই এ সেক্টর থেকে রফতানি আয় ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতদিন জমি নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সরকার এ শিল্পের জন্য দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতুর পশ্চিম পাশে প্রায় ৫০ একর জমি প্রদানের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে। কিš‘ সরকার পরিবর্তন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা এখনও বাস্তবায়ন হ”েছ না।
বিপিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ছোট, মাঝারি এক হাজার ২৪০টি ও বড় মাপের ৫২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতভাগ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০০টি প্র”ছন্ন রফতানিকারক, ২০টি সরাসরি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও উভয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি। প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৬৫ শতাংশই ঢাকায় অব¯ি’ত। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২০ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ১০ শতাংশ ও বাকিগুলো খুলনা, কুমিল্লা ও বগুড়ার অব¯ি’ত।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও কানাডায় প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ।
প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকরা জানান, বাংলাদেশে এ শিল্পের বিকাশে বড় অবদান রাখছে পোশাক শিল্প। মূলত পোশাক শিল্পের রফতানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেজিং শিল্পের সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রফতানি হ”েছ প্লাস্টিকের পলিব্যাগ, পিভিসি ব্যাগ, পলিথিন শিট, মেলামাইন, টেবিলওয়্যার, প্লাস্টিক গুডস, প্লাস্টিক ওয়েস্ট, ভিডিও-অডিও ক্যাসেট, হ্যাঙ্গার, ওভেন স্যাকস, গার্বেজ ব্যাগ, হ্যান্ড গ্লাভস, খেলনা, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, পিভিসি পাইপ প্রভৃতি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলাদা একটি প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তি সই হলেও সরকার পরিবর্তন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হ”েছ না। আর ফাইল পাওয়া না গেলে তা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং বিসিকের মধ্যে চুক্তির আওতায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে এ শিল্প নগরী গড়ে তোলার কথা ছিল। কিš‘ চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ নভেম্বর আবারও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রশাসনিক জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে ঢাকার নিকটবর্তী মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতুর পশ্চিম পাশে প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনে ৫০ একর জমি নির্ধারণ করা থাকলেও এর কার্যক্রমও ¯’বির হয়ে আছে।
এ বিষয়ে থাই ডিলাক্স প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কে এম ইকবাল হোসাইন বলেন,
বিসিকের সঙ্গে প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তি হয়েছে ছয় বছর। কিন্ত তার বহু আগে থেকেই এ বিষয়ে কার্যক্রম চালানো হ”েছ। প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যা”িছ। কিš‘ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনসহ প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হ”েছ না। অথচ দেশের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকে আরও শক্তিশালী করতে আধুনিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর প্লাস্টিক সেক্টর থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া হ”েছ। এ খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ জড়িত। তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হলে অচিরেই এ সেক্টর থেকে রফতানি আয় ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতদিন জমি নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্লাস্টিক শিল্প নগরী ¯’াপনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সরকার এ শিল্পের জন্য দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতুর পশ্চিম পাশে প্রায় ৫০ একর জমি প্রদানের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে। কিš‘ সরকার পরিবর্তন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা এখনও বাস্তবায়ন হ”েছ না।
বিপিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ছোট, মাঝারি এক হাজার ২৪০টি ও বড় মাপের ৫২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতভাগ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০০টি প্র”ছন্ন রফতানিকারক, ২০টি সরাসরি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও উভয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি। প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৬৫ শতাংশই ঢাকায় অব¯ি’ত। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২০ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ১০ শতাংশ ও বাকিগুলো খুলনা, কুমিল্লা ও বগুড়ার অব¯ি’ত।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও কানাডায় প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হ”েছ।
প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকরা জানান, বাংলাদেশে এ শিল্পের বিকাশে বড় অবদান রাখছে পোশাক শিল্প। মূলত পোশাক শিল্পের রফতানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেজিং শিল্পের সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রফতানি হ”েছ প্লাস্টিকের পলিব্যাগ, পিভিসি ব্যাগ, পলিথিন শিট, মেলামাইন, টেবিলওয়্যার, প্লাস্টিক গুডস, প্লাস্টিক ওয়েস্ট, ভিডিও-অডিও ক্যাসেট, হ্যাঙ্গার, ওভেন স্যাকস, গার্বেজ ব্যাগ, হ্যান্ড গ্লাভস, খেলনা, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, পিভিসি পাইপ প্রভৃতি।
No comments:
Post a Comment