চলতি অর্থবছরে বিদেশির প্রতিশ্রুতির অর্থ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি না। গত মাস পর্যন্ত বৈদেশিক অর্থ ছাড় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১৭২ কোটি ডলার কম। এদিকে সুদের বোঝা কমাতে ও বেসরকারি খাতে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বিদেশি অর্থ ছাড়ে বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র মতে, সরকার ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বৈদেশিক অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করেছিল ৬০০ কোটি ডলার। এসেছে মোট ৪২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এরমধ্যে ঋণ ৩০৬ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান হচ্ছে ১২১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এখনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় কম রয়েছে প্রায় ১৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মতো। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমে গেছে। অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল মোট ৪৯১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৩৭ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান ছিল ৫৪ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র মতে, সরকার ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বৈদেশিক অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করেছিল ৬০০ কোটি ডলার। এসেছে মোট ৪২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এরমধ্যে ঋণ ৩০৬ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান হচ্ছে ১২১ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এখনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় কম রয়েছে প্রায় ১৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মতো। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমে গেছে। অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল মোট ৪৯১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৩৭ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান ছিল ৫৪ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদের বোঝা কমাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া কমিয়ে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কারণ অভ্যন্তরীণ ঋণের তুলনায় বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ অনেক কম। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ কমালে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট কেটে যাবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে বিনিয়োড় বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
তাদের মতে, বিশ্ব ব্যাংক একটি দেশকে মোট ধার্য ঋণের পরিমাণের ১০ শতাংশ ঋণ দিয়ে থাকে। চীন উন্নত দেশ হয়েও তারা পুরো ১০ শতাংশ ঋণ নিয়েছে। তারা দেশের বড় প্রজেক্টগুলো বিদেশি ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও একই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। তারা বিশ্ব ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ঋণ গ্রহণ করেছে। ভারতও তাদের অধিকাংশ বড় প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিদেশি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ না নিয়ে বেশি করে অভ্যন্তরীণ ঋণ নিচ্ছে। বিদেশি ঋণের থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণে ৮ থেকে ১০ শতাংশ সুদ বেশি দিতে হয়। যা বাংলাদেশে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ আশংকাজনক হারে বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ ঋণ বেশি নেয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রেখে বিদেশি ঋণ আরো বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে বড় প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়নে সরকারকে জোর দিতে হবে।
সেন্টার ফর পলেসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার নানা জটিলায় বিদেশির অর্থের ছাড় করাতে পারছে না। এ কারণে দেশীয় ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশিয় ঋণের তুলনায় বিদেশি সুদের পরিমাণ অর্ধেক। তাই বিদেশি ঋণ নিলে সুদের পরিমাণও কমবে। যরা অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেগুলো নেয়ার জন্য সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। কি কারণে প্রতিশ্রুতির অর্থ ছাড় করা যাচ্ছে না সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যদি কোনো কর্মকর্তার অবহেলার কারণে অর্থ ছাড় না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া বৈদেশিক অর্থ ছাড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment