তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেছেন, সর্বনিম্ন কর হার বৃদ্ধির সঙ্গে করের আওতা বাড়ানোর ফলে দেশের গরীব মানুষের কষ্ট পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বাজেটে সর্বনিম্ন করহার বাড়ানো ও ভ্যাট আয় সংশোধন করে আয়করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আয় ছয় হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ হয়েছে। এর ফলে গরীব মানুষের কষ্ট আরো বেেেড় যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। আকবর আলী বলেন, মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনা বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী এজেন্ডা হলেও বাজেটে এ সম্পর্কে সুনিদির্ষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। সরকার ক্ষমতায় আসার তিন বছর অতিক্রম হলেও মূল্যস্ফীতির হার কমাতে পারেনি। গত দু’য়েক মাসে মূল্যস্ফীতির হার সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসলেও তা এখনো ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম কমার বিষয়ে কোন বক্তব্য অনেক আগে থেকেই বাজেট থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অথচ সাধারণ মানুষ জানতে চায় গ্যাস, বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের নিত্য সমস্যার কোন সমাধান বাজেটে আছে কিনা।
তিনি বলেন, সরকার বারবার বলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কিন্ত সাধারণ মানুষ বিদ্যৎ পাচ্ছে না। বেশি টাকা বিল পরিশোধ করছে কিন্তু লোডশেডিং বেড়েই চলছে। সরকারের বহু ব্যর্থতা বাজেট বক্তৃতায় অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ বাজেট অনেক উচ্চাবিলাসী বলা হলেও বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটা ঠিকই আছে। অনেকে এটাকে রাজনৈতিক বাজেট বললেও ঢালাওভাবে তা বলাটা ঠিক হবে না। কেননা বাজেটে রাজনৈতিক ছোঁয়া কিছুটা থাকবেই। বাজেটের মূল্যস্ফিতি হার ৭.৫ শতাংশ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মূখে রয়েছে। সুতরাং আর্থিক ব্যয় হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চাবিলাসী খররচগুলো সংকোচন করতে পারাটাই বড় বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, শুধু বক্তব্য নয় পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থব্যবস্থা কিভাবে পরিচালনা করবেন তার উপড় নির্ভর করবে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কিনা।
No comments:
Post a Comment