অর্থনীতি প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা যেমন বাড়ছে তেমনি অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সংগৃহীত অর্থের সিংহভাগই সংগ্রহ করা হবে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পেশকৃত আগামী ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপি বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৫৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এই ব্যয় সংশোধিত আকারে ছিল ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপি বাবদ বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য ও বিশেষ উন্নয়ন ঋণ থেকে আসবে ২৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১৬ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সংগ্রহ করা হবে ৩১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে।
এডিপি’র আওতায় এবার অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে। এই মন্ত্রণালয়ে এবার বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১০২ কোটি টাকা যা এডিপি’র ২১ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ২৬ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের জন্য। মোট নয় হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা যা এডিপি’র ১৬ দশমিক আট শতাংশ। গত অর্থ বছরে ছিল সাত হাজার ৯১২ কোটি টাকা।
উন্নয়ন বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে সাত হাজার ৪০২ কোটি টাকা যা বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের ১৩ দশমিক এক শতাংশ। এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য চার হাজার ৩৮২ কোটি টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুই হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৭৩ কোটি টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা।
আগামী বছর উন্নয়ন বাজেটে অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ বাবদ প্রস্তাব করা হয়েছে চার হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
এদিকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকা যা চলতি ২০১১-১২ অর্থ বছরে ছিল তিন হাজার ৩৬ কোটি টাকা। এই পরিমাণ প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপি’র ছয় দশমিক আট শতাংশ।
No comments:
Post a Comment