অর্থনীতি প্রতিবেদক: পুঁজিবারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি রিট হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক আবুল বাশার বাদী হয়ে রিটটি ফাইল করেন। আগামি ৭ মে বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চে রিটটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। রিট পিটিশনারের আইনজীবী তামজিদা মিলা জানান, গত ২২ নভেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে সেটি স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত বাতিলে রুল নিশি জারির আবেদন জানানো হয়েছে। রিটে অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, এসইসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মের রেজিস্ট্রার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদীর আরেক কৌঁসুলি শফিকুর রহমান বলেন, পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের ওই কোম্পানিতে শতকরা দুইভাগ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে এসইসি। অন্যখায় ৬ মাসের মধ্যে তাদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এটি কোনো বিধান হতে পারে না। এসইসি এভাবে পরিচালক পদে থাকার জন্য শেয়ার থাকার শর্ত জুড়ে দিতে পারে না। কে পরিচালক থাকবে, আর কে থাকবে না, তা নির্ধারিত হয় কোম্পানি অ্যাক্টও ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট অনুযায়ী। তিনি বলেন, রুলসের সেকশন ২ এর গ (গ) এ পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের কোনো নির্দেশনা নেই। বিধি বহির্ভুতভাবে গৃহিত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শেয়ারের দাম আকষ্মিকভাবে কমে কিংবা বেড়ে যেতে পারে। পিটিশনারের পক্ষে ড. এম. জহির শুনানিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে একই বিষয় চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে গত ৮ এপ্রিল বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এসইসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চার সপ্তাহের রুল নিশি জারি করে।
গতকাল এসইসি, ডিএসই ও সিএসই এ রুলের জবাব দাখিল করেছে বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, জবাব সেকশনে দাখিল করা হয়েছে। ফিক্সিং হয়েছে। কার্যতালিকায় উঠলে শুনানি হবে। আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
No comments:
Post a Comment